রাঙামাটি প্রতিনিধি: মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে ও বলাকা স্পোটিং ক্লাবের অনিয়ম ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজের অভিযোগ উঠেছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত গত ১৩ নভেম্বর শনিবার ১৬টি দল নিয়ে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু ২য় বিভাগ ফুটবল লীগ। গত ১৬ই নভেম্বর আর্য্যদেব লয়্যাল ক্লাবকে ৫-০ গোলে হারিয়ে বিজয় লাভ করে বলাকা স্পোটিং ক্লাব। তবে এ অনুষ্ঠিত খেলাকে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও অনিয়মের অভিযোগ করেছে আর্য্যদেব লয়াল ক্লাব।
গত ১৬ নভেম্বর বিকেলে রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থারর পরিচালিত বঙ্গবন্ধু ২য় বিভাগ ফুটবল লীগের আহ্বায়ক কমিটির বরাবরে অভিযোগ দেয় আর্য্যদেব লয়্যাল ক্লাব। আর্য্যদেব লয়্যাল ক্লাব অভিযোগ করে জানায়, নিজ জেলা বাদে অন্য জেলার খেলোয়ার এ খেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে না এমন ঘোষণা দেওয়ার স্বত্বেও বলাকা ক্লাব গঠনতন্ত্র না মেনে বাইরের জেলা খাগড়াছড়ি জেলা থেকে খেলোয়ার নিয়ে খেলাটি পরিচালনা করে। জেকি ত্রিপুরা ও মাইকেল ত্রিপুরাসহ ৪/৫ জন খেলোয়ার বলাকা স্পোটিং ক্লাবের হয়ে খেলেছে। রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার বরাবরে খেলাটি পরিত্যক্ত করার আবেদন জানালেও সুষ্ঠু বিচার না করে বরং অন্যায় ও অনিয়মের পক্ষ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আর্য্যদেব লয়্যাল ক্লাবের ম্যানেজার ও সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ তালুকদার। এ বিষয়ে বলাকা স্পোটিং ক্লাবের ম্যানেজার ও সভাপতি ঝিনুক ত্রিপুরা বলেন, শুধু আমাদের ক্লাব বাইরের জেলা থেকে খেলোয়ার নিয়ে আসে নি। বাকী যে ক্লাব লীগে অংশগ্রহণ করছে তারা সকলেই বাইরে থেকে খেলোয়ার নিয়ে আসছে। শুধু আমাদের ক্লাবকে দোষারোপ করলে হবে না।
তবে এটাই ঠিক, লীগ পরিচালনা কমিটি প্রথমে ঘোষণা করেছিল বাইরে জেলা থেকে কোন খেলোয়ার খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কিন্তু সামান্য বিষয় নিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়া উভয়ের মধ্যে কাঁদাছোড়া ছাড়া কিছুই নয়। সামান্য বিষয় নিয়ে পরিতেষের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। আর্য্যদেব লয়্যাল ক্লাবের ম্যানেজার ও সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ তালুকদার বলেন, খেলার শুরু হওয়ার আগে হাতে প্রমাণ নিয়ে আমরা লীগ পরিচালনা কমিটির নিকট অভিযোগ করেছিলাম। তারা আমাদের অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে খেলা শুরু করে দেয়। বলাকা স্পোটিং ক্লাব গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করছে । দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ম ভঙ্গ করে খেলার ম্যাচে জিতেছে ভালো কথা কিন্তু এসব অন্যায় ও অনিয়মের সুষ্ঠু বিচার না করে বরং উল্টো বলাকা স্পোটিং ক্লাবের পক্ষ নিয়েছে রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা। যা আমরা কখনো ভাবতে পারি নি। এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টির অভিযোগ ফেসবুকে দেখেছি। অভিযোগ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের কথা শুনেছি। তবে সেই বৈঠকে আমি উপস্থিত থাকতে পারি নি। কি সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বিস্তারিত ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জানবেন। বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও এ বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম।
উল্লেখ্য রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার তালিকাভুক্ত ক্লাব ৩৭টি হলেও অধিকাংশ ক্লাবে অডিট রিপোর্ট, বাংক হিসাব নং নেই বলে অনেকের অভিযোগ ।